Cloth5
New Church Building3
Cloth2
New Church Building Program
previous arrowprevious arrow
next arrownext arrow
Greetings From Secretary

“বিশ্বাসের উত্তম যুদ্ধে প্রাণপণ কর; অনন্ত জীবন ধরিয়া রাখ; তাহারই নিমিত্ত তুমি আহূত হইয়াছ, এবং অনেক স্বাক্ষীর সাক্ষাতে সেই উত্তম প্রতিজ্ঞা স্বীকার করিয়াছ” ১তিমথীয় ৬:১২”

ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের পক্ষে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও খ্রীষ্টীয় অভিনন্দন। ঈশ্বরের অযাচিত আর্শীবাদ ও শতবছরের ঐতিহ্য নিয়ে আমরা ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের বিশ্বাসীরা সুদীর্ঘ সময় ধরে পথ চলছি। এশিয়া মহাদেশে ড: উইলিয়াম কেরীর আগমনেই ব্যাপ্টিষ্টদের সাক্ষ্যদানের ইতিহাস সূচনা হয় এবং ১৮১৬ খ্রীষ্টাব্দে ঢাকা মন্ডলী হিসাবে প্রথম এর কার্যত্রম শুরু হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন চড়াই-উত্তরাই এর মধ্য দিয়ে ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ আজ এখানে এসে দাড়িয়েছে। আমাদের চ্যালেঞ্জ যেমন ছিল তেমনি আর্শীবাদের ঝুলিও ছিল ভরপুর।

বর্তমানে চার্চের সকল আত্মিক পরিচর্যা যেমন- রাবিবারিক উপাসনা,প্রার্থনা রজনী, উপবাস প্রার্থনা, আত্মিক উদ্দিপনা সভা, পারিবারিক প্রার্থনা সভা, চলমান রয়েছে। এই সকল কার্যত্রম পরিচালনার জন্য বর্তমান মন্ডলীতে ১৭ জন পরিচারক/পরিচারিকা রয়েছেন, যারা আত্মিকতায় উদ্ভিপ্ত হয়ে ঈশ্বরের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। বহি:প্রচার, বস্ত্র বিতরন এবং নতুন চার্চ গৃহ নির্মান কার্যক্রমগুলো ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চকে দিয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও স্বতন্ত্রতা এবং এই কাজের মধ্য দিয়ে আমারা পেয়েছি ঈশ্বরের প্রচুর আর্শীবাদ আর সেই সাথে সাধারন খ্রীষ্টভক্ত এমনকি অবিশ্বাসীদের কাছেও ঈশ্বরের ভালবাসকে পৌছে দিতে। অনেক কাজের ধারাবাহিকতায় ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের এই ডিজিটাল মাধ্যমটি অন্যতম। সময়ের প্রয়োজনে আমরা আজ এই প্লাটফর্মকে ব্যবহার করছি। আমরা চাই অনেকে আমাদের কাজের সাথে যুক্ত হউক; সকলের প্রার্থনা, পরামর্শ, সক্রিয় অংশগ্রহন, ও আর্শীবাদের মধ্য দিয়ে ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের কার্যক্রম আরও সমৃদ্ধশালী হউক। ডিজিটালইজেশন বিংশ শতাব্দীর একটি অতি প্রয়োজনীয় বাস্তবতা যদিও এর অনেক নেতিবাচক দিক রয়েছে তবে একসাথে অনেক মানুষকে সম্পৃক্ত করা, চার্চের কার্যক্রমকে তুলে ধরা, বিভিন্ন তথ্য, নোটিশ, এমনকি বাক্য প্রচারের জন্য এটি একটি যুগপোযগী পদক্ষেপ বলে আমরা মনে করি। আশা ও বিশ্বাস করি আপনারা সব সময় আমাদের পাশে থাকবেন এবং সক্রিয় বা পরোক্ষভাবে সকল কার্যক্রমের অংশী হবেন। ঢাকা ব্যাপ্টিষ্ট চার্চের সম্পাদক হিসাবে আবারও আমি আপনাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ঈশ্বর আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল করুন।

Vision Statement​

“আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতার মাধ্যমে ঈশ্বরের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত”

Mission Statement​

“ঈশ্বর-প্রদত্ত সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার করে আত্মিক পরিচর্য্যা, খ্রীষ্টিয় নেতৃত্বের বিকাশ এবং বহিঃপ্রচার সহ অন্যান্য কার্যক্রমের সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে খ্রীষ্টের শিষ্য করা”

চার্চের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

প্রভু যীশুর মহান আদেশে সাড়া দিয়ে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরূপঃ

ক. পবিত্র বাইবেল অনুসারে সমগ্র জগতে খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করা এবং ঈশ্বরের উপর খ্রীষ্টভক্তদের যেন কর্মহেতু বিশ্বাস থাকে তাহা রক্ষায় সহায়তা করা। খ্রীষ্টিয় জীবন যাপন এবং সাক্ষ্যদানে লোকদের প্রস্তুত ও অনুপ্রানিত করিয়া শিষ্য হিসেবে গড়ে তোলা।

খ. পরিচর্যা কার্যের মাধম্যে সকলকে খ্রীষ্টিয় প্রেমে গেথে তোলা।

গ. খ্রীষ্টিয় ঐক্য, প্রেম ও সহভাগিতা শক্তিশালী করা এবং ঈশ্বরের রাজ্যবৃদ্ধি কল্পে কাজ করা।

চার্চের কার্যাবলীঃ-

ক. চার্চের দায়িত্ব খ্রীষ্টের সুসমাচার প্রচার করা।
খ. সকল সদস্য/সদস্যাকে খ্রীষ্টের আদর্শে জীবন যাপন করিতে উৎসাহ দান করা। যেন তাহারা সকলের নিকট উত্তম খ্রীষ্টিয় আদর্শ দেখাইতে পারেন।
গ. যারা বিশ্বাসে দুর্বল তাহাদিগকে প্রেম,যত্ন ও সহনশীলতার মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়া ও খ্রীষ্টের সহভাগীতায় প্রতিষ্ঠিত করা।
ঘ. বিপদগ্রস্থ, অসহায় ও শোকার্তদের প্রতি সহানুভ‚তি প্রকাশ করা এবং সাধ্যানুসারে আর্থিক সহায্য প্রদান করা।
ঙ. নিয়মিত উপাসনা, পারিবারিক ও অন্যান্য প্রার্থনা সভার ব্যবস্থা করা এবং প্রভুর ভোজ, শিশু উৎসর্গ, অবগাহন ও বিবাহ প্রদান করা।
চ. কোন সদস্য/সদস্যার মৃত্যু হলে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রার্থনা ও যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহনের মধ্যদিয়ে সমাধিকার্য সম্পাদন করা।
ছ. ঈশ্বরের পরিকল্পনা অনুযায়ী মানুষের পরিপূর্ণতা ও উন্নতির স্বার্থে যে সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্রীষ্টিয় সংগঠন কাজ করিতেছেন তাহাদের সহিত যোগাযোগ ও সহভাগিতা রক্ষা করা।
জ. খ্রীষ্টিয় চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটানো।
ঝ. উপাসনা-পদ্ধতি ও কার্যক্রমে দেশীয়করণ করা।
ঞ. বাংলাদেশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করিবার জন্য খ্রীষ্টিয় পন্থা অবলম্বন করা।
ট. জাতীয় ও বিশেষ দিবস মান্ডলীকভাবে ধর্মীয় ভাবধারায় পালন করা।
ঠ. সান্ডেস্কুলের শিশুদের সান্ডেস্কুলে নিয়ে আসার এবং উপাসনায় বয়স্কদের যোগদানে ব্যবস্থা করা।
ন. চার্চের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন ও বাস্তবায়ন করা।
প. মণ্ডলীর যুব ও অপেক্ষাকৃত দুর্বল সদস্য/সদস্যাদের ক্ষমতায়ন, কাজ করার উপযোগী ও কাজের সুযোগ তৈরী করে দেয়া।